স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাতারগুলের মত হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গ -এ অবস্থিত লক্ষীবাউর একটি অনন্য মিঠাপানির জলারবন। রাতারগুলের চেয়েও আয়তনে অনেক বড় হলেও দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনায় বনটি প্রায় ধ্বংসের দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে। বনে ঢুকলে একটি গাছেও পুরাতন ডাল পালা দেখা যায়না। বন সংলগ্ন জলাশয়সমূহ ইজারা দেওয়া এবং গাছের ডালপালা কেটে বিক্রি করার কারণে বনের প্রাকৃতিক জীব -বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন, বনের ভিতরে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করা এবং উচ্চ শব্দে গান বাজনার মত ঘটনা চোখে পড়ে। গতকাল ২৭ মার্চ শনিবার বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র একটি প্রতিনিধিদল লক্ষীবাউর জলারবন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে এই সমস্ত বিষয় প্রতিনিধি দলের চোখে পড়ে। বাপা কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন, বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল, যুগ্ম সম্পাদক ডা: এস এস আল – আমীন সুমন, বাপা সদস্য আব্দুল হান্নান, তানভীর আহমেদ, ডা: আলী আহসান চৌধুরী পিন্টু, আব্দুল ওয়াদুদ মাসুম, কেন্দ্রীয় যুব বাপা সংগঠক দেওয়ান নূরতাজ আলম, এ আর মুর্শেদ, সৈয়দ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। বাপা এর পক্ষ থেকে বলা হয় লক্ষীবাউর জলার বনটি সংরক্ষণ ও সুষ্টু ব্যবস্থাপনার দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। কিন্তু সংরক্ষণের নামে অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বনটিকে আরো বিনষ্টের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে এমনকি বনের ভেতরে একটি কংক্রিটের রাস্তাও দেখতে পাওয়া যায়। বাপা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, লক্ষীবাউর একটি অনন্য সুন্দর অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদ। স্থানীয় জনদমসাধরনকে সম্পৃক্ত করে প্রকৃতি বান্ধব পর্যটন ও প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের ব্যবস্থা করা উচিত । তবে প্রাথমিকভাবে অন্তত আগামী ৩ বছর পর্যটনসহ যে কোন ধরনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে বনের নিজস্ব পরিবেশ – প্রতিবেশ ফিরিয়ে আনতে দেওয়া উচিত।
Leave a Reply