স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রবাসে মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সামসুদ্দিন আহমেদ এমবিই’র ৮৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে বানিয়াচংয়ে আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বানিয়াচং উপজেলার তকবাজখানী গ্রামে মাষ্টার রমজান আলী ট্রাস্টের আয়োজনে আয়োজিত আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী। মোছাম্মদ লায়লা বেগমের সভাপতিত্বে ও কাউছার হোসেন নিয়াজীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী, বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠতা সভাপতি এডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমদ ইকবাল, বানিয়াচং থানার অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মদ এমরান হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমিন, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা খবির উদ্দিন, হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সাবেক প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান এম এ রাজ্জাক, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এডভোকেট রুহুল হাসান শরিফ, হবিগনঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুয়েব চৌধুরী, হবিগঞ্জ অনলাইন ও বানিয়াচং উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি এস এম খোকন, ২নং ইউপি চেয়ারম্যান ওয়ারিশ উদ্দিন খান, উপজেলা আওয়ামিলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, মাতাপুর মহল্লার সাবেক সর্দার এস এম হাফিজুর রহমান, সাবেক সর্দার আশরাফ হোসেন শান্ত, সাংবাদিক মোতাব্বির হোসেন, এস এম মহিবুর রহমান, আক্তার হোসেন আলহাদী, সৈয়দ জামাল উদ্দিন নানু মিয়া প্রমুখন।আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা বশির উদ্দিন । আলোচনা সভা শেষে অতিথিবৃন্দ গরীব ও অসহায় অন্তত ২শত পরিবারের লোকজনের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল ও মাস্ক বিতরণ করেন। প্রবাসী সামসুদ্দিন আহমদ এমবিই হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সাতাইহাল গ্রামে ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম কমর উদ্দিন আহমেদ, মাতার নাম ফয়জুন্নেসা খাতুন। তিনি হবিগঞ্জ জেকেএন্ডএইচকে হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করার পর মাত্র ১৬ বছর বয়সে সুডেন্ট বিসায় ইংল্যান্ড গমন করেন। সেখানে পড়াশুনা শেষে ১৯৬১ সালে ব্যবসার সাথে জড়িত হন। তিনি অসংখ্য সমাজকল্যান মূলক সংগঠনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এছাড়া তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে অর্থ সংগ্রহ ও জনমত গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। গত ৬০ বছরেরও বেশী সময় ধরে তিনি প্রবাসে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে নানামূখি কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। সমাজ কল্যাণমূলক কর্মকান্ডের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি অনেকগুলো সম্মাননাও অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৯৫ সালে হাউজ অব কমন্সের চার্চিল রুমে বিবিসি নিউজ কাস্টার ও এমপি মি. মার্টিন লুইস তাকে বার্কলেজ কমিউনিটি অ্যাওয়ার্ড প্রদানকরা হয়। ১৯৯৯সালে তিনি চেশোয়ার ও নর্থ ওয়েলস মিলেনিয়াম চ্যাম্পিয়ান এর জন্য মনোনিত হন। ২০০০ সালে তাকে চেষ্টার লর্ড মেয়র স্টার অব দ্যা সিটিজেন উপাধীতে ভূষিত করেন। এছাড়াও তিনি এশিয়া মহাদেশের মধ্যে প্রথম ইংল্যান্ডের রাণীর নিকট থেকে এমবিই উপাধীতে সম্মানিত হন।
Leave a Reply